Plastic pollution is one of the biggest crises in today’s world. It threatens human health, marine life, and biodiversity. Every year, around 10 million tons of plastic enter the ocean, endangering marine species and coastal livelihoods. But did you know? The United Nations has stepped up with a global agreement to tackle this challenge, the Global Plastic Treaty.
Let’s explore 10 important facts you should know about the Global Plastic Treaty!
Fact 1 A Worldwide Alliance Against Plastic! In 2022, 175 countries agreed for the first time on a legally binding treaty with one goal: to end plastic pollution. It is considered one of the most ambitious environmental agreements in history.
Fact 2 More Than Just Recycling! The treaty will regulate the entire life cycle of plastics from how they are produced, to how they’re used, and finally disposed of.
Fact 3 The Deadline: 2040 The goal is to stop plastic pollution by 2040. If current trends continue, plastic in the ocean could triple by 2040, the treaty aims to prevent this catastrophe.
Fact 4 Controlling Plastic Waste Trade Poorer countries suffer the most from plastic waste, even though they produce the least. The treaty will regulate international plastic waste trade, preventing illegal dumping in vulnerable nations.
Fact 5 Global, But Local Too! Globally, around 20 million people rely on informal waste picking for survival, and this treaty highlights the importance of recognizing their rights and contributions.
Fact 6 Microplastics Matter! It’s not just about big plastic items. The treaty also targets invisible microplastics — tiny particles now found in oceans, in our food, and even in human blood.
Fact 7 Reduce Production! Many countries are pushing for binding targets to cut NEW plastic production. The idea is simple: stop plastic at the source, not just clean it up later. Today, nearly 1 million plastic bottles are produced every single minute, cutting production is the only real solution.
Fact 8 Harmful Chemicals Plastics release toxic chemicals like Bisphenol-A (BPA) and phthalates into the environment and into our bodies. The treaty aims to regulate and control these harmful substances.
Fact 9 Goodbye Single-Use Plastics Companies may be forced to redesign their packaging to be reusable, refillable, or biodegradable, replacing wasteful single-use plastics.
Fact 10 Your Voice Matters! Public pressure is shaping the treaty. From petitions to protests, ordinary people are the driving force of change. Your voice matters too.
Next time you see plastic waste, remember, it’s no longer just a local problem. The Global Plastic Treaty is bringing the world together for cleaner oceans, healthier people, and a greener planet.
The Global Plastic Treaty isn’t just paperwork; it’s our chance to rewrite the future.
গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটি সম্পর্কে ১০টি তথ্য
প্লাস্টিক দূষণ আজ বিশ্বের অন্যতম বড় সংকট। এটি মানুষের স্বাস্থ্য, সামুদ্রিক জীবন আর জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি টন প্লাস্টিক সমুদ্রে চলে যায়, যা সামুদ্রিক জীবকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কিন্তু জানেন কি, এই সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ এগিয়ে এসেছে একটি বৈশ্বিক চুক্তি নিয়ে গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটি।
চলুন জেনে নিই গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটি সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!
তথ্য ১ প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে বিশ্বজোড়া একতা! ২০২২ সালে প্লাস্টিক দুষণ রোধের লক্ষ্যে বিশ্বের ১৭৫টি দেশ প্রথমবারের মতো একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক চুক্তি তৈরীর সিদ্ধান্ত নেন। এটি মানব ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী পরিবেশগত চুক্তিগুলোর একটি বলে মনে করা হয়।
তথ্য ২ শুধু রিসাইক্লিং নয়! চুক্তিতে সম্মত দেশগুলোকে নিয়ম মেনে প্লাস্টিকের পুরো জীবনচক্রকে, অর্থাৎ, উৎপাদন থেকে ব্যবহার ও বর্জ্য ফেলে দেওয়া পর্যন্ত—নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর মানে, শুধু পরিষ্কার বা রিসাইক্লিং নয়, বরং উৎপাদনের উৎসেও পরিবর্তন আনতে হবে।
তথ্য ৩ সময়সীমা: ২০৪০ এই চুক্তির লক্ষ্য, ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ রোধ করা। প্রতিবছর যদি বর্তমান প্রবণতা বজায় থাকে, তবে ২০৪০ সালের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিকের পরিমাণ তিনগুণ বেড়ে যাবে, চুক্তিটি সেই বিপদ ঠেকাতে কাজ করবে।
তথ্য ৪ প্লাস্টিক বর্জ্য বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে কম প্লাস্টিক উৎপাদন করলেও গরিব দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির স্বীকার হয়। তাই দুর্বল দেশগুলোতে যেন প্লাস্টিক বর্জ্য অবৈধভাবে প্রবেশ না করতে পারে সেই লক্ষ্যে এই চুক্তি আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক বর্জ্য বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। বাংলাদেশের মতো দেশ ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক বর্জ্যের ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ হয়ে পড়ছে, যা রোধে এই ধারা গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য ৫ বৈশ্বিক হলেও স্থানীয়ও! বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটি মানুষ অনানুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করে, তাদের স্বীকৃতি ও অধিকার নিশ্চিত করা এ চুক্তির একটি বড় লক্ষ্য।
তথ্য ৬ মাইক্রোপ্লাস্টিকও বড় সমস্যা! শুধু বড় প্লাস্টিক নয়, অদৃশ্য মাইক্রোপ্লাস্টিকও এর লক্ষ্যবস্তু। এই ক্ষুদ্র কণাগুলো সমুদ্র, খাবার, এমনকি মানুষের রক্তেও পাওয়া যাচ্ছে—চুক্তি এগুলো নিয়েও ব্যবস্থা নিতে চায়।
তথ্য ৭ উৎপাদন কমাতে হবে! অনেক দেশ চাইছে নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর জন্য বাধ্যতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ হোক। অর্থাৎ, উৎসেই প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ বা কমাতে হবে, শুধু পরিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়। কারণ, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০ লাখ প্লাস্টিক বোতল উৎপাদিত হচ্ছে।
তথ্য ৮ ক্ষতিকর রাসায়নিক! প্লাস্টিক, এর ভেতরে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক যেমন বিসফেনল-এ বা থালেট পরিবেশ ও মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বৈশ্বিক এই চুক্তি এসব ক্ষতিকর পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্য রাখছে।
তথ্য ৯ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে কোম্পানিগুলোকে তাদের প্যাকেজিং নতুনভাবে তৈরি করতে হতে পারে, যা হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য, রিফিলযোগ্য, বা বায়োডিগ্রেডেবল।
তথ্য ১০ আপনার কণ্ঠেই আছে পরিবর্তনের শক্তি সাধারণ মানুষের চাপই গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটি। চুক্তিকে শক্তিশালী করছে। পিটিশন থেকে শুরু করে প্রতিবাদ—প্রতিদিনের মানুষই পরিবর্তনের চালিকা শক্তি। বিশ্বজুড়ে ১,০০০-এরও বেশি সিভিল সোসাইটি গ্রুপ ইতিমধ্যেই এ প্রক্রিয়ার অংশ হয়েছে। আপনার অবদানও মূল্যবান।
যখন প্লাস্টিক বর্জ্য দেখবেন, মনে রাখবেন—এটা আর শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটি বিশ্বকে একত্রিত করছে, পরিষ্কার সমুদ্র, সুস্থ মানুষ এবং সবুজ পৃথিবীর জন্য।
গ্লোবাল প্লাস্টিক ট্রিটি শুধু কাগজে-কলমে নয়, এটাই আমাদের ভবিষ্যৎ পুনর্লিখনের সুযোগ।
